বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হলে সংলাপ হতে পারে
বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হলে সংলাপ হতে পারে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ আগ বাড়িয়ে কোনো সংলাপের উদ্যোগ নেবে না। চারটি মূল বিষয়কে বাইরে রেখে বিএনপির যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয়, তাহলে সংলাপ হতে পারে।
আজ রোববার তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ এখন আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।'
বায়দুল কাদের যে চারটি মূল বিষয়ের কথা বলেছেন সেগুলো হলো—তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরবে না, শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, সংসদ আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থায় থাকবে এবং নির্বাচন কমিশন যেমন আছে তেমনই থাকবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপি থেকে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করারও সুযোগ নেই। কারণ, সেখানে শুধুমাত্র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই অংশ নিতে পারবেন।'
গতকালকের বিএনপির মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত যে নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তার মাধ্যমে তাদের তথাকথিত সমাবেশকে নিয়ে জনমনে যে আশঙ্কা ছিল সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।'
নির্বাচন বানচালের জন্য শত শত নিরীহ মানুষকে বিএনপি জিম্মি করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'অফিস- আদালত, বাসাবাড়িসহ ব্যাপক ভাঙচুর করেছে তারা। যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের জন্য আবারও তারা তাদের মজ্জাগত সন্ত্রাসী পথ বেছে নিয়েছে।'
বিএনপিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা কারো সঙ্গে গায়ে পড়ে সংঘাতে যাব না। কারণ, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই, শান্তির কথা বলছি। কিন্তু আমাদের ওপর কেউ হামলে পড়লে পরিস্থিতি যেটা বলবে আমরা সেটাই করব।'
গতকালের হামলায় জড়িত সবার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিকল্প নেই। যদি পরিবর্তন চান, তাহলে আসুন। আমরা একটা সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে বদ্ধ পরিকর। নির্বাচন সময়মত হবে। জনগণ না চাইলে আমরা ক্ষমতা থেকে সরে যাব। আর যদি কেউ মনে করে সহিংসতা করে, অপকর্ম করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন, নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করবেন, সেটা আমরা হতে দিব না।'
What's Your Reaction?