বাংলাদেশিদের জন্য থাইল্যান্ডে ৩ ভিসা ক্যাটাগরিতে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করলো
২ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার থাই দূতাবাস থাই ই-ভিসা আবেদনকারীদের জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে উন্নত সেবা চালু করেছে, যার মধ্যে গুরুতর রোগ, জাতিসংঘ সম্মেলন এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে। আবেদনকারীদের দ্রুত আবেদন জমা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, কারণ ভিসা প্রক্রিয়া ১০ কার্যদিবস সময় নিতে পারে। ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা উপলক্ষে দূতাবাস বন্ধ থাকবে।
ঢাকার থাইল্যান্ডের দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, ২ ফেব্রুয়ারি থেকে থাই ই-ভিসা আবেদনকারীদের জন্য উন্নত সেবা চালু করা হয়েছে। নতুন সুবিধাগুলি তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রদান করা হবে:
১. গুরুতর রোগে আক্রান্ত রোগী ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। কেমোথেরাপি, বড় অস্ত্রোপচার, ক্যান্সার চিকিৎসা, হৃদরোগ, অথবা প্রসবের অপেক্ষায় থাকা গর্ভবতী আবেদনকারীরা থাই হাসপাতাল বা বাংলাদেশে অবস্থিত হাসপাতালের প্রতিনিধির মাধ্যমে জরুরি অবস্থা নিশ্চিত করতে পারবেন। পাশাপাশি, প্রতিটি রোগীর সাথে একজন অ্যাটেন্ডেন্ট নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হবে। অতিরিক্ত অ্যাটেন্ডেন্টের জন্য সাধারণ নিয়মে আবেদন করা যাবে।
২. ব্যাংককে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সম্মেলন, সেমিনার, এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ ভিসা সুবিধা। আয়োজক সংস্থাগুলি তাদের অংশগ্রহণকারীদের নাম এবং যোগাযোগের বিবরণ থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রত্যাশিত অনুষ্ঠান সম্পর্কে আগে থেকে দূতাবাসে ই-মেইল করতে পারবেন।
৩. থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদদের জন্যও ভিসা সুবিধা প্রদান করা হবে। সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া সংস্থা অথবা থাই ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ তাদের অংশগ্রহণকারীদের তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা ইভেন্টের বিষয়ে পূর্বে অবহিত করার জন্য দূতাবাসে ই-মেইল করতে পারেন।
ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সহজ করতে দূতাবাস সেবা প্রদান ব্যবস্থাকে আপগ্রেড করছে। সাধারণত ভিসা প্রক্রিয়াকরণে ১০ কার্যদিবস সময় লাগে, তাই আবেদনকারীদের দ্রুত আবেদন জমা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মাঘী পূর্ণিমা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কারণে ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার থাই দূতাবাস বন্ধ থাকবে।
What's Your Reaction?