রংপুর-১: বাড়ি বাড়ি ভ্যান পাঠিয়ে আনা হল ভোটার
রংপুর-১: বাড়ি বাড়ি ভ্যান পাঠিয়ে আনা হল ভোটার
রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে ভোট কেন্দ্রগুলো সকালের দিকে বেশির ভাগই ছিল ফাঁকা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে বাড়ি বাড়ি ভ্যান ও অটোরিকশা পাঠাচ্ছিলেন তিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকেরা। সেগুলোতে করে অনেক ভোটার কেন্দ্রে আসেন। আজ রোববার সকাল ৮ থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সরেজমিনে গঙ্গাচড়ার অন্তত ১২টি কেন্দ্র ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
রংপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী নেই। লাঙল নিয়ে লড়ছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মসিউর রহমান (রাঙ্গা) ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আসাদুজ্জামান। মসিউর ও আসাদুজ্জামান যথাক্রমে ট্রাক ও কেটলি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এই আসনে মোট ৯জন প্রার্থী থাকলেও মূলত লড়াই হবে লাঙল, ট্রাক ও কেটলি প্রতীকের মধ্যে। মোট ভোটার ৩ লাখ ৩২ হাজার ২২২।
সকাল ৯টায় রংপুর সিটি করপোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের চব্বিশ হাজারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্র এক-দু’জন করে ভোটার আসছেন।
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এস এম মোর্শেদ প্রথম আলোকে বলেন, এই কেন্দ্রের মোট ভোটার ৩ হাজার ৬১৮। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৬৮টি ভোট পড়েছে। এর মধ্যে মহিলাদের ৬ নম্বর বুথে একটিও ভোট পড়েনি। ৭নং বুথে পড়েছে ১টি। বেলা ২টার দিকে এই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জানান, সাত শ’ র বেশি ভোট সম্পন্ন হয়েছে।
চব্বিশ হাজারী থেকে থেকে মৌলভীবাজার কেন্দ্রের সামনে এসে সড়কে বেশ লোকজন দেখা গেল। কথা হয় আবুল কাশেম ও মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে। মাজহারুল বলেন, তিনি ভোট দিতে আসেননি। ভোটার উপস্থিতি দেখতে এসেছেন। আবুল কাশেমও ভোট দেবেন না বলেন জানান।
চব্বিশ হাজারী ভোট কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী আরাজি নিয়ামত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও গিয়েও ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেল। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চন্দন কুমার রায় জানান, সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৬৬টি ভোট পড়েছে। যদিও এই কেন্দ্রের মোট ভোটার ৩ হাজার ৯০।
একইভাবে গঙ্গাচড়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র, দক্ষিণ কোলকোন্দ মাস্টারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কোলকোন্দ তাকিয়া শরীফ দাখিল মাদ্রাসা, কোলকোন্দ মোহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও কুড়িবিশ্বা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে ভোটার উপস্থিতি খুব কম দেখা গেছে। এর মধ্যে কোলকোন্দ মোহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও কুড়িবিশ্বা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহিলা ভোটারের দুটি বুথ ছাড়া ভোটারের লাইন চোখে পড়েনি।
কুড়িবিশ্বা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। এরমধ্যে ৫-৬ নম্বর বুথে ভোটার পরিস্থিতি খুবই কম। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০-১২টি করে ভোট পড়েছে।
ভ্যান ও অটোরিকশা পাঠিয়ে আনা হচ্ছে ভোটার
স্থানীয় ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে তাঁরা বাড়ি বাড়ি ভ্যান ও অটোরিকশা করে ভোটার নিতে আসছেন।
বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড়বিল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশাপাশি দুটি ভোটকেন্দ্র। এই দুই কেন্দ্রের সামনে কথা হয় উপজেলা জাতীয় পার্টির উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরঙ্গ জেব বাদশার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে তাঁরা ওয়ার্ড প্রতি ৩-৪টি ভ্যান রেখেছেন। সেগুলোতে করে ভোটারদের বাড়ি থেকে আনা হচ্ছে।’
What's Your Reaction?