পর্যটকবাহী মাইক্রর সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ৬

সিলেটে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পর্যটকবাহী মাইক্রর সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ৬
পর্যটকবাহী মাইক্রর সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ৬

সিলেটে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারীসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকালে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের গোয়াইনঘাটের সালুটিকর পিয়াইনগুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা গ্রামের সোলেমান আহমদ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে সিলেটের ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনস্পটে যাচ্ছিলেন। এসময় কোম্পানীগঞ্জ থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিলেট শহরে যাচ্ছিল।

ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মাইক্রোবাসের একটি চাকা পাংচার হয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় দুটি গাড়িই পাশের হাওরের পানিতে পড়ে যায়। এতে অটোরিকশার চালকসহ পাঁচজন এবং মাইক্রোবাসের চালক মারা যান। আহত হন মাইক্রোবাসের পাঁচ যাত্রী।

সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ জহির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাওরুয়া আনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক মাওলানা কাজী আমির উদ্দিন (৪২), সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক একই উপজেলার ইসলামপুরের মো. শাহজাহানের ছেলে মো. কালন (৩৫) ও পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসচালক ঢাকার হেমায়েতপুরের বাসিন্দা আবু তাহের (৫০)।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ পর্যটক। তারা হলেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা গ্রামের সোলেমান আহমদ (৪১), তার ছেলে আফনান আহমদ (৭), একই গ্রামের আরিফুল ইসলামের মেয়ে নাসিতা নোহা (৫) ও আল আমিন (৪০)। এছাড়া গুরতর আহত অপর ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow