এডিসি হারুন স্যারকে মেরেছিলেন আমার স্বামী
এডিসি হারুন স্যারকে মেরেছিলেন আমার স্বামী
![এডিসি হারুন স্যারকে মেরেছিলেন আমার স্বামী](https://bangladeshtodays.com/uploads/images/202309/image_870x_65012fac3d498.jpg)
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে থানায় মারধরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের স্ত্রী পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন। তিনি বলেছেন, এডিসি হারুন অর রশিদকে প্রথমে মেরেছিলেন তাঁর স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক।
চ্যানেল আইয়ের ইউটিউব চ্যানেলে আজ মঙ্গলবার প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে গত শনিবারের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন এডিসি সানজিদা আফরিন।
সাক্ষাৎকারটি আজ বিকেলে প্রচার করা হয়। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ঘটনায় এডিসি হারুনের ওপর প্রথম আঘাত করেছিলেন রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার সূত্রপাত যে কারণে হয়েছে, যিনি সূত্রপাত করেছেন, তিনিও (রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক) একজন সরকারি কর্মকর্তা। উনি আমাদের পুলিশের ওপর হামলাটি করেছেন।’
অবশ্য বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁকে একাধিকবার কল করা হয়েছে, খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে, তবে সাড়া পাওয়া যায়নি।
চ্যানেল আইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এডিসি সানজিদা বলেছেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। চিকিৎসক দেখাতে সহকর্মী হিসেবে এডিসি হারুনের সহায়তা নেন তিনি। হঠাৎ তাঁর স্বামী আজিজুল হক কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেন। এডিসি হারুন ও তাঁকে মারধর করেন তাঁর স্বামী।
সানজিদা আরও বলেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকা কয়েকজন অসৎ উদ্দেশ্যে দুজনের (এডিসি হারুন ও সানজিদা) ভিডিও করেন। তাঁদের হাত থেকে বাঁচার জন্য এডিসি হারুন থানা-পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে হারুনকে উদ্ধার করে।
ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর স্বামী আজিজুল হক স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না বলেও দাবি করেন এডিসি সানজিদা। তিনি বলেন, ‘সেদিন আমার স্বামী (আজিজুল হক) টোটালি আউট অব মাইন্ড (মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না) ছিলেন।’
ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে সানজিদা আফরিন বলেন, তিনি অনেক দিন ধরেই অসুস্থ। ল্যাবএইডের একজন চিকিৎসককে নিয়মিত দেখান তিনি। তবে ওই চিকিৎসক দেশের বাইরে আছেন। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তিনি বারডেমে একজন চিকিৎসক দেখাতে চান। হাসপাতালটির অবস্থান রমনা এলাকার মধ্যে হওয়ার কারণেই চিকিৎসক দেখাতে সহকর্মী এডিসি হারুনের সহায়তা চান। শাহবাগ থানার ওসির (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মাধ্যমে এডিসি হারুন একজন চিকিৎসকের সময় নেন (অ্যাপয়েন্টমেন্ট)। তবে হাসপাতালে এসে জানতে পারেন, ওই চিকিৎসক একটি কনফারেন্সে ব্যস্ত। রোগী দেখতে পারবেন না। বিষয়টি তিনি এডিসি হারুনকে জানান।
What's Your Reaction?
![like](https://bangladeshtodays.com/assets/img/reactions/like.png)
![dislike](https://bangladeshtodays.com/assets/img/reactions/dislike.png)
![love](https://bangladeshtodays.com/assets/img/reactions/love.png)
![funny](https://bangladeshtodays.com/assets/img/reactions/funny.png)
![angry](https://bangladeshtodays.com/assets/img/reactions/angry.png)
![sad](https://bangladeshtodays.com/assets/img/reactions/sad.png)
![wow](https://bangladeshtodays.com/assets/img/reactions/wow.png)