আপ্যায়নকাণ্ডে ডিবিপ্রধানকে একহাত নিলেন গয়েশ্বরকন্যা

আপ্যায়নকাণ্ডে ডিবিপ্রধানকে একহাত নিলেন গয়েশ্বরকন্যা

আপ্যায়নকাণ্ডে ডিবিপ্রধানকে একহাত নিলেন গয়েশ্বরকন্যা
আপ্যায়নকাণ্ডে ডিবিপ্রধানকে একহাত নিলেন গয়েশ্বরকন্যা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গত শনিবার অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের পিটুনিতে আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ডিবি অফিসে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ করান। সেই আপ্যায়নের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়। এর পরই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। 

পরে ডিবিপ্রধান হারুন গণমাধ্যমকে বলেন, গয়েশ্বর রায়কে মানবিকতা ও সামাজিকতা দেখিয়ে আপ্যায়ন করিয়েছি, অন্য কোনো উদ্দেশ্যে নয়। প্রধানমন্ত্রী আমাকে তার ব্যাপারে খোঁজখবর রাখতে বলেছেন। 

ডিবিপ্রধানের এমন বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গয়েশ্বরকন্যা ও বিএনপির প্রান্তিক ও জনশক্তি উন্নয়নবিষয়ক সহসম্পাদক অপর্ণা রায়। 

বুধবার (২ আগস্ট) বিকালে এক সমাবেশে ডিবিপ্রধান হারুনের তীব্র সমালোচনা করে গয়েশ্বরকন্যা অপর্ণা রায় বলেন, ‘হারুন বলেছেন—গয়েশ্বর রায়কে প্রধানমন্ত্রী খেয়াল রাখতে বলেছেন। কোন খেয়াল রাখতে বলেছে? জনাব হারুন আপনি সোনারগাঁও হোটেল থেকে খাবার এনে আপ্যায়ন করার চেষ্টা করেছেন। টাকাটা কার বাবার ছিল। আমরা জানি, আপনার গারদে থাকা আসামিদের খাবার দিতে গেলে ঘুস দিতে হয়। সেদিন কার থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন।’

জনাব হারুন আপনি মিডিয়াতে বলেছেন, ‘মানবিকতা ও সামাজিকতা দেখিয়ে আমি আপ্যায়ন করার চেষ্টা করেছি। মি. হারুন আপনার ভাবা উচিত ছিল, গয়েশ্বর রায় সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ছিলেন। আপনি আপ্যায়নের নামে বাবা গয়েশ্বর ও আমার পরিবারের সঙ্গে যা করেছেন তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আপনি আমার পরিবারকে হাসিয়েছেন।’ 

গয়েশ্বরকন্যা আরও বলেন, ‘জনাব হারুন আপনি যদি সামাজিকতা ও মানবিকতা দেখাতেন, তা হলে যখন আমার বাবাকে নিয়ে গেছিলেন, কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন বলেননি কেন? সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পুলিশ দ্বারা আমার পরিবারের সঙ্গে লুকোচুরি খেলেছেন। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল নিয়ে গেছেন আমার বাবাকে।

অপর্ণা রায় বলেন, ‘ন্যূনতম সামাজিকতা আপনার মধ্যে থাকলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যেতেন না। কী পরিকল্পনা ছিল আপনাদের। আজকে গয়েশ্বর বলে হয়তো ফিরে পেয়েছি। অন্য কেউ হলে হয়তো ফিরে পেতাম না। তাকে খেয়েই ফেলতেন। কারণ ডিবির রুমে ঢুকলেই বান্ডিল বান্ডিল টাকা দিতে হয়।’ 

গত ২৯ জুলাই নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বরকন্যা বলেন, ‘আমার বাবা গয়েশ্বর রায়কে সেদিন যেভাবে মাটিতে ফেলে নির্যাতন করা হয়েছে, তা ’৭১-এর বর্বরতাকে হার মানিয়েছে।’  

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow